blog 6

শিশুর সুস্থ ও সুন্দর হাসির পেছনে সুস্থ দাঁত ও মাড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেডিয়াট্রিক ডেন্টাল কেয়ার (Pediatric Dental Care) হলো শিশুদের দাঁতের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও যত্ন। শিশুরা দাঁতের সমস্যার প্রতি বেশি সংবেদনশীল, তাই ছোট থেকেই নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এই ব্লগে আমরা শিশুর দাঁতের যত্ন, দাঁতের সাধারণ সমস্যা, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং দাঁত সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।


শিশুর দাঁতের যত্ন কেন জরুরি?

প্রাথমিক দাঁত সুস্থ থাকলে স্থায়ী দাঁত ভালোভাবে গজাতে পারে।
নিয়মিত দাঁতের যত্ন দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি ও দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করে।
শিশুর খাবার চিবানোর ক্ষমতা উন্নত করে ও হজমে সহায়তা করে।
সঠিকভাবে কথা বলা ও উচ্চারণের বিকাশে সাহায্য করে।
শিশুর মুখগহ্বর ও চোয়ালের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

প্রাথমিক বা দুধ দাঁত শিশুর ৬ মাস বয়স থেকে গজাতে শুরু করে এবং ২-৩ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসে। সাধারণত ৬ বছর বয়স থেকে দুধ দাঁত পড়তে শুরু করে এবং স্থায়ী দাঁত গজায়। এ কারণে ছোট থেকেই দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


শিশুদের দাঁতের সাধারণ সমস্যা

🔹 ক্যাভিটি বা দাঁতের ক্ষয় – মিষ্টিজাতীয় খাবার ও পর্যাপ্ত ব্রাশিং না করার ফলে দাঁতের গর্ত বা ক্ষয় হয়।
🔹 দাঁতে ব্যথা ও সংক্রমণ – ক্যাভিটি ও মাড়ির সমস্যার কারণে দাঁতে ব্যথা হতে পারে।
🔹 অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাঁত (Malocclusion) – দাঁতের ভুল অবস্থান বা আড়াআড়ি দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
🔹 ফ্লুরোসিস (Fluorosis) – অতিরিক্ত ফ্লুরাইড গ্রহণের ফলে দাঁতে সাদা বা বাদামি দাগ হতে পারে।
🔹 মাড়ির প্রদাহ (Gingivitis) – শিশুর মাড়িতে লালচে ভাব, রক্তপাত বা ব্যথা হতে পারে।

specialization-2
specialization-3

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *